সদর উপজেলা (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা ফিশিং ট্রলার থেকে ৬ জন জেলের লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ২ জনকে। নিখোঁজ রয়েছে আরো অনেকে।
বুধবার সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সীগাল ও নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে এসব লাশ ও জীবিত জেলেদের উদ্ধার করা হয়। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে জীবিতরা হলেন, ভোলা চরফ্যাশন এলাকার ওয়াজউদ্দিনের ছেলে জুয়েল (৩৫) ও মোহাম্মদ মনির হোসেন (৪৫)।
কক্সবাজার সী-সেইভ লাইফ গার্ড এর সুপার ভাইজার মোঃ ওসমান গণি জানান, ‘সীগাল পয়েন্টে সমুদ্রের পাড়ে থাকা লোকজনের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করি এবং একজনকে মূমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসি ১ জনকে। পরে জানতে পারি নাজিরারটেকে আরো ২ টি লাশ পাওয়া গেছে এবং ওখানে আরো একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, বুধবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পান মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবন্ত অবস্থায় সাগরের কুলে আটকা পড়েছে। এসময় তাৎক্ষনিক কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ, লাইফ গার্ড এবং দমকল বাহিনীর সহায়তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। এসময় নাজিরার টেক থেকে ২ জন এবং সীগাল পয়েন্ট থেকে ৪ জন মোট ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ২ জনকে। ধারণা করা হচ্ছে তারা সরকারী নিষেধাজ্ঞা না মেনে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে। আর গভীর সমুদ্রে ট্রলারটি ডুবে যায়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম জানান, সীগাল পয়েন্টে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভেসে আসার খবর পয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। পরে আরো ২ টি লাশ নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে উদ্ধার করা হয়। আর ২ পয়েন্ট থেকে ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। জীবিতদের পরিচয় সনাক্ত হলেও নিহতের এখনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে যতটুকু জানা গেছে তারা ভোলা চরফ্যাশন এলাকার বাসিন্দা। গত ৪ দিন আগে তারা নিষেধাজ্ঞা না মেনে মাছ ধরতে গিয়ে গভীর সমুদ্রে ট্রলারটি ডুবিতে এই দূর্ঘটনায় পতিত হয়। এ ঘটনায় আরো অনেকে নিখোঁজ থাকার সম্ভবনা রয়েছে। নিহতদের লাশ মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply